নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনে অটোরিকশা চাপায় এক শিশুর মৃত্যুর পর সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি, বুধবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় বিএম কলেজ এবং নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তারা নিরাপদ সড়ক, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সড়ক ডিভাইডার, এবং ফুটপাতের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের দাবিতে অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী এবং পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন, পরে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এর আগে, দুপুরে বিএম কলেজের সামনে একটি অটোরিকশার চাপায় শিশু জান্নাতুল মাওয়া (১০) নিহত হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বেলা ১টার দিকে বিএম কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। সন্ধ্যায় তারা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন, যার ফলে বরিশাল-ঢাকা রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন, এবং মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
বিএম কলেজের শিক্ষার্থী মো. শাহাদাত বলেন, “আমরা সড়ক নিরাপত্তা, সিসি ক্যামেরা, ডিভাইডার, এবং অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য সাত দফা দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, তবে দাবি না মানা হলে আবারো আন্দোলনে নামব।”
বরিশাল মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. বেলাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।