শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিলেন বাংলাদেশী পাইলট

বাংলাদেশ বাণী ডেক্স।। 

১৯৬৭ সালের পাঁচই জুনের কথা। ওইদিন তপ্ত বিকালে ইসরাইলের চারটে ফাইটার জেট (যুদ্ধবিমান) জর্ডানের মাফরাক বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য ছিল, ওই ছোট্ট দেশের বিমানবাহিনীকে শেষ করে দেওয়া। এর আগে তারা মিশরীয় বিমান বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।

সেদিন মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলি বিমান বাহিনী মাটিতে থাকা ২০০এরও বেশি মিশরীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দিয়েছিল। খবর বিবিসি বাংলার।

কিন্তু জর্ডানের মাফরাক বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই ইসরাইলি বিমান বাহিনী নিজেদের দুটো যুদ্ধবিমান হারায়। এর মধ্যে একটা বিমানকে ভূপাতিত করেছিলেন যে পাইলট, তিনি একজন বাংলাদেশী, নাম সাইফুল আজম। বৃহস্পতিবার বিবিসি উর্দুর সাংবাদিক ওয়াকার মুস্তফার করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন অর্থাৎ পাঁচই জুন জর্ডান বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ওড়ানোর সময় তিনি ইসরাইলি যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেন। এর ঠিক দুই দিন পর, সাতই জুন ইরাকের বিমান বাহিনীর একটা বিমান ওড়ানোর সময় আরও দুটো ইসরাইলি যুদ্ধবিমানকেও ভূপাতিত করেন তিনি।

১৯৬০ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কমিশন পাওয়া সাইফুল আজম ১৯৬৫সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীরও একটা বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন।

‘দ্য গোল্ড বার্ড পাকিস্তান অ্যান্ড ইটস এয়ার ফোর্স, অবজারভেশনস অফ আ পাইলট’ বইয়ে মনসুর শাহ লিখেছেন, ‘আমাদের (পাকিস্তানের) বিমান বাহিনীর টেকনিশিয়ানদের ৩৫শতাংশ এবং সাইফুল আজমের মতো চমৎকার পাইলটসহ বিমানচালকদের এক-চতুর্থাংশ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের।’

পাকিস্তানের ফ্লাইট লেফটেন্যান্টের পদে থাকাকালীন ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পর তাকে পাকিস্তান সরকার সামরিক পদক ‘সিতারা-ই-জুরাত’ দিয়ে সম্মানিত করে।

এরপর ১৯৬৬ সালের শেষের দিকে তিনি জর্ডান বিমান বাহিনীর উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হন। পরের বছর আরও একটা যুদ্ধে লড়েন তিনি। ওই যুদ্ধে একদিকে ছিল ইসরাইল, অন্যদিকে জর্ডান, মিশর, সিরিয়া ও ইরাকসহ আরব দেশগুলোর জোট।

ইসরাইল হঠাৎই মিশরীয় বিমান বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর সূত্র ধরে যুদ্ধের শুরু হয়। মিশর হঠাৎ বড়-সড় ধাক্কা খাওয়ার পর জর্ডানের বিমান বাহিনীকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।

ইতিহাসবিদ ও সাবেক এয়ার কমোডর কায়সার তুফায়েল তার ‘গ্রেট এয়ার ব্যাটলস অফ পাকিস্তান এয়ার ফোর্স’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষার সীমিত অনুমতি পাওয়ার পর সাইফুল আজম জর্ডানের মাফরাক বিমানঘাঁটি থেকে লেফটেন্যান্ট এহসান শারদুমকে নিয়ে হান্টার বিমানে সওয়ার হয়ে উড়ান শুরু করেন। তাদের পেছনে পেছনে অন্য হান্টার বিমানও উড়তে শুরু করে।

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘মরুভূমির ধুলাবালি এবং উত্তাপের কারণে, দৃষ্টিশক্তি এক মাইলেরও কম ছিল। শত্রুর কোনো চিহ্নই দেখা যাচ্ছিল না। সাইফুল রাডারে মাফরাক বিমানঘাঁটির দিকে ইসরাইলি বিমান আসছে কিনা জানতে চাইলে, জবাব আসে ‘হ্যাঁ’। সঙ্গে সঙ্গে মাফরাকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সাইফুল।’ জর্ডানের আশঙ্কা ছিল, মিশরের পর ইসরাইলি বিমানবাহিনী সেখানে হামলা চালাবে।

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘তিনি মাফরাক বিমানঘাঁটি থেকে চার মাইল দূরে চারটে বিমানকে কম উচ্চতায় যুদ্ধবিন্যাসে উড়তে দেখেন। অনুমান করেন যে এটা ইসরাইলি মিস্টেয়ার বিমান।’

‘সাইফ সঙ্গে সঙ্গে এমন এক বিমানের ঠিক পিছনে অবস্থান নেন যেটা হামলার জন্য ধেয়ে যাচ্ছিল। তিনি শক্তিশালী বন্দুক দিয়ে করে গুলি করেন ওই বিমানে। মিস্টেয়ার বিমানে আগুন লেগে যায় এবং তার বিভিন্ন অংশগুলো ভেঙে যেতে শুরু করে। ওই বিমানের ভেঙে পড়া অংশগুলো এড়াতে সাইফুল তার নিজের বিমানকে বেশি উচ্চতায় নিয়ে যান।’

‘মাফরাক বিমানঘাঁটির সীমান্তের কাছে ওই ইসরাইলি বিমান ধ্বংস হয়। কিন্তু তার পাইলট লেফটেন্যান্ট হানানিয়া বিমান থেকে বের হতে পারেননি।’

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম দেখলেন দুটো মিস্টেয়ার বিমান পূর্ণ গতিতে পশ্চিম দিকে যাচ্ছে। সাইফুল তাকে ধাওয়া করতে করতেই এহসান তার ডান দিকে আরেকটা শত্রু বিমানকে লক্ষ্য করেন। তিনি এহসানকে একটা শত্রু বিমানকে ধাওয়া করার নির্দেশ দেন আর নিজে অন্য দু’টো শত্রু বিমানের পিছনে ধাওয়া করেন।’

‘সাইফুল একটা মিস্টেয়ারের পিছনে চলে আসেন, যে বিমানটা দ্রুত সমারসল্ট করে পালানোর চেষ্টা করছিল। সাইফুল ওই বিমানকে লক্ষ্য করে চারবার গুলি ছুঁড়লেও তার কোনোটাই লক্ষ্যে লাগেনি।’

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘তিনি কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু হঠাৎই লক্ষ্য করেন যে শত্রু বিমান সোজা উড়তে শুরু করেছে। ব্যবধান কমিয়ে পঞ্চমবার নিশানা করেন সাইফুল। এইবার মিস্টেয়ারের ডান দিক থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। অর্থাৎ গুলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত লেগেছে।’

‘ওই বিমানটা কাত হয়ে যায়, কিন্তু তা পুড়োপুরো ধ্বংস হয়েছে কি না তা দেখতে পাননি সাইফুল কারণ ততক্ষণে অন্য একটা ইসরাইলি বিমান তাকে আক্রমণ করার জন্য ঘুরছিল।’

কায়সার তুফায়েল আরও লিখেছেন, ‘জ্বালানি ও গোলাবারুদের অভাবে সাইফুল পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেন এবং মাফরাকে ফিরে আসেন। তার আশঙ্কা ছিল, মাফরাকের রানওয়ে হয়তো কাজ করার মতো অবস্থাতে নেই। তাই তিনি সমস্ত বিমানকে এয়ারফিল্ডের উত্তরে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাদের রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।’

‘কিন্তু এহসান বিপদ বুঝতে পেরে রেডিওতে নিয়ন্ত্রকের পরিচয় এবং তার কুকুরের নামও জানতে চান, যা আসলে একটা গোয়েন্দা কোড ছিল। সেই সময়েই একই, জর্ডানের নিয়ন্ত্রক রেডিওতে এসে মাফরাকে অবতরণ না করার জন্য সতর্ক করেন।’

এহসান শারদুমের উপস্থিত বুদ্ধি তাদের দু’জনকেই এই বিপজ্জনক ইসরাইলি ফাঁদ থেকে রক্ষা করেছিল। প্রকৃতপক্ষে ওই রানওয়ে ততক্ষণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং অবতরণ করার জন্য অনুমতির রেডিও বার্তা আসলে একটা ফাঁদ ছিল।

‘সব বিমানকে রাজধানী আম্মানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে তখনো ইসরাইলিরা হামলা চালায়নি। ভাগ্যবশত পাইলটরা হামলার কিছুক্ষণ আগে অবতরণ করে।’

‘কিন্তু তাদের বিমানগুলো রক্ষা পায়নি। অবতরণের কিছুক্ষণ পরেই আধুনিক সুপার-মিস্টিক প্লেনগুলো ‘ডাইবার’ বোমা ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়, যার ফলে রানওয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়।’

কায়সার তুফায়েল তার বইয়ে লিখেছেন, ‘বিমানবন্দরের সিভিল সেন্টারগুলোকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই হামলায় বহু বিমান ও হেলিকপ্টারও ধ্বংস হয়। পাইলটরা এই ঘটনার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করার জন্য আম্মানের অপারেশন হেডকোয়ার্টারে জড়ো হন।’

‘প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের মাঝে উপস্থিত হন স্বয়ং জর্ডানের বাদশাহ হুসেইন। তিনি পাইলটদের প্রশংসা করতে এসেছিলেন যারা এই প্রথম জর্ডানের কোনো বড় বিমান যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।’

কায়সার তুফায়েল জানিয়েছেন, এই সময় জর্ডান তার পাইলটদের ইরাকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। তারপর শীঘ্রই তাদের ইরাকে পাঠানোর আদেশও জারি করা হয়।

এরপর ছয়ই জুন রাত ন’টায় ওই কনভয় ইরাকের হাবানিয়া বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়, যেখানে তিনটে হান্টার স্কোয়াড্রন উপস্থিত ছিল।

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘সাতই জুন সকালে খুবই নিচু গলায় কারও কথায় ঘুম ভাঙে সাইফুলের। বেস কমান্ডারের বার্তা নিয়ে তার কাছে পৌঁছান ইরাকের একজন তরুণ অফিসার। ওই বার্তায় জানানো হয়েছিল তিনি (বেস কমান্ডার) প্রথম ফ্লাইটের জন্য চারজন পাইলটকে এগিয়ে আসতে বলেছেন এবং আপনাকে নেতৃত্ব দিতে বলা হয়েছে!’

এর কিছুক্ষণ পরই চারটে হান্টার বিমানের একটা দল বাগদাদ থেকে ৪৩৫কিলোমিটার পশ্চিমে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় মরুভূমির এক প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত বিমানঘাঁটি এইচ-থ্রি এর দিকে যাচ্ছিল।

‘পঁচিশ হাজার ফুট উচ্চতায় কন্ট্রোলার ঘোষণা করেন-লিডার, এইচ-থ্রি আক্রমণ করা হচ্ছে। নিচে যান এবং মোকাবিলা করুন।’

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘ইসরাইলি বিমানের ফরমেশনে ছ’টা বিমান ছিল। ওয়াভাতোরের চারটে বিমানের নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি স্কোয়াড্রন কমান্ডার ক্যাপ্টেন সোলেমন করণ, যিনি টু-সিটারর বিমানে নেভিগেটর ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার আনবার মেলিৎজারের সঙ্গে ছিলেন।’

অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটির বেস কমান্ডার কর্নেল ইয়েজিকাল সমিক, ক্যাপ্টেন আইজ্যাক গ্যালান্টিজ-গোলান এবং লেফটেন্যান্ট ওশলম ফ্রিডম্যান।

‘সাইফুল আজমের নেতৃত্বাধীন ইরাকি হান্টার বিমান যখন এইচ-থ্রি থেকে পাঁচ মাইল দূরে, তখন তারা পশ্চিম দিক থেকে দু’টো ওয়াভাতোর বিমান আসতে দেখেন। সাইফুল যখন ওয়াচ টাওয়ার বিমানের পেছনে যাওয়ার জন্য পজিশন নিচ্ছিলেন, তখন সমীর তাকে ডেকে বলেন-দু’টো মিরাজ বিমান তোমার পেছনে আছে।’

‘এক মুহূর্তের মধ্যে, সাইফুল তার ফর্মেশন ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন, তিনি এবং এহসান ওই মিরাজ বিমানগুলোর মোকাবিলা করবেন বলে স্থির করেন। সমীর ও গালিব ধাওয়া করবে ওয়াভাতোরকে।’

কায়সার তুফায়েলের মতে, ‘সাইফুল দ্রুত ব্যবধান কমিয়ে আনেন। তারপর বিসমিল্লাহ বলে হান্টার বিমানের ট্রিগারে চাপ দিয়ে একটা মিরাজকে টার্গেট করেন। গুলি সরাসরি ইসরাইলি বিমানের ডানায় আঘাত করে এবং স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়।’

‘হঠাৎ আঘাতে মিরাজ ভস্মীভূত হয় এবং ইসরাইলি পাইলট ক্যাপ্টেন ডারভার বিমান ঘাঁটির কর্মীদের সামনে ইজেক্ট করে বেরিয়ে আসেন। মিরাজ ধ্বংস করার পর সাইফুল ডান দিকে মোড় নিয়ে দেখেন প্রায় দুই হাজার ফুট নিচে দিয়ে যাচ্ছে আরেকটা শত্রু বিমান।

কায়সার তুফায়েল লিখেছেন, ‘সাইফুল নিজের বিমানকে উল্টে দেন এবং একটা স্প্লিট-এস মুভমেন্ট করতে থাকেন। মাটি থেকে কম উচ্চতাতে এই মুভমেন্ট বিপজ্জনক হতে পারে। এত জোরে টান দেন তিনি যে তার প্রত্যাঘাতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন সাইফুল। বিমান পৃষ্ঠে এসে পড়ার পর তিনি লক্ষ্য করেন তার বিমান ওয়াভাতোরের পিছনে। যদিও তখনও ব্রেক খোলা ছিল এবং থ্রটল বন্ধ ছিল। সেই সময় ওই বিমানের সঙ্গে তার দূরত্ব মাত্র দু’শো ফুট।’

‘সাইফুল গুলি চালান। তার আঘাতে ওই বিমান টুকরো টুকরো হয়ে আকাশে উড়তে শুরু করে। সাইফুলের নিজের বিমানও এমনভাবে ঝাঁকুনি খায় যেন কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে।’

কায়সার তুফায়েলের মতে, ‘ক্যাপ্টেন গোলান বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং তার বিধ্বস্ত বিমান থেকে প্যারাসুটের সাহায্যে বেরিয়ে আসেন। ডারভার কিছুক্ষণ আগেই আরও বেশি উচ্চতা থেকে থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। গোলানের প্যারাসুট যখন খোলে তখন দু’জনেই এখন একসঙ্গে প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে ভাসছেন।’

সাইফুলের বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় যখন তিনি ফিরে আসার পরিকল্পনা করছিলেন, তখন সমীর উত্তেজিত কণ্ঠে বলে উঠলেন, লিডার, আমি ওয়াভাতোরকে ধ্বংস করেছি।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *