নিজস্ব প্রতিনিধি।।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে বরিশাল মহানগর ছাত্রফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা ১১টার নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে র্যালি বের করে নেতাকর্মীরা। এর আগে ফকির বাড়ি রোডের দলীয় কার্যালয়ে সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদের সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক ফারজানা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তৃতা দেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, সহকারী প্রধান শিক্ষক সোনালী কর্মকার, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সভাপতি দুলাল মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা সভাপতি মাফিয়া বেগম প্রমুখ।
এসময় নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমাম তার ছেলে রুমিকে বিদেশে পড়তে না পাঠিয়ে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। এ কারণে পরিবারের উপর পাকবাহিনীর করা নির্যাতন সহ্য করেছেন তিনি।
তার ছেলে রুমি মুক্তিযুদ্ধে ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরোচিত যুদ্ধ করে। পরে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সে শহীদ হয়।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি প্রথমবারের মত বাংলাদেশে উত্থাপন করেন। ১৯৭১ এ আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনী গঠন করা গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি তাদের আমির হিসেবে গোলাম আজমের নাম ঘোষণা করেন।
তখনই সারা দেশ আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ১৯৯২ সালে গঠন করা হয় ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, তৈরি হয় গণআদালত। যার নেতৃত্বে ছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
রাষ্টীয় পৃষ্ঠপোষকতা রাজাকারদের পক্ষে থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষা ছিল রাজাকারদের বিচার নিশ্চিত করা।
এরপর ১৯৯৪ সাথে ২৬ জুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।