সোলায়মান তুহিন, গৌরনদী বরিশাল প্রতিনিধি।।
দেশের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এ মহাসড়ক দিয়ে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা ছাড়াও খুলনা ও গোপালগঞ্জের অসংখ্য যাত্রীবাহী যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে।
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। একইসাথে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। এতে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গৌরনদী ‘জিরো পয়েন্ট’ এলাকায়—যেখানে খুলনা-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক মিলিত হয়েছে—প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহনের চাপ থাকে। ধসে পড়া সড়ক ও গভীর গর্তের কারণে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সাংবাদিক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “এই মোড়ে প্রায় ১৫-২০টি দোকান রয়েছে। একটি লোকাল বাস কাউন্টারসহ এসব দোকান যেকোনো সময় পাশের পুকুরে ধসে পড়তে পারে। এতে ব্যবসায়ীদের চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।”
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরী বলেন, “আমাদের আওতাধীন সড়ক নিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ধসপ্রবণ দোকানগুলোর অবস্থান পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, “টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত ইটের সলিং দিয়ে মেরামতের কাজ চলছে। বৃষ্টি কমলে বিটুমিন ও পাথরের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে।”
গৌরনদী থেকে ঢাকা গামী যাত্রী ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ধসে পড়া অংশ দ্রুত সংস্কার না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। যানবাহনের গতি কমে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দোকান ও বাস কাউন্টার হুমকির মুখে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষতি ঘটতে পারে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।