নীহার মোশারফ
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় দ্বীপাঞ্চল ভোলায় ধানের খেতে খেতে অগ্রহায়ণের হাওয়া। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেই আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে ব্যাপকহারে শুরু হয়েছে ঘরে ফসল তোলার কাজ। ধান কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্নের উৎসব পালিত হচ্ছে কৃষকের আঙিনায় আঙিনায়।
ভোলায় এখনো ভোরে শীতের কুয়াশা না দেখা গেলেও উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা যেন শীতের কথাই জানান দিচ্ছে। প্রকৃতির শাদা চাদরে ঢেকে দিচ্ছে আবহমান বাংলার মাঠ-ঘাট, পথ-ঘাট। নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। চরাঞ্চলে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। ভোলায় আগে যেমন অগ্রহায়ণকে ঘিরে বাড়ি বাড়ি নবান্ন উৎসব করা হতো এখন তেমনটা দেখা যায় না।
বাড়ির উঠানে একদিকে গরু দিয়ে ধান মাড়াই অন্যদিকে মা-ঝিয়েরা পিঠাপুলি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন। বন্ধুবান্ধবদের দাওয়াত করতেন। গান-বাজনার আয়োজন করতেন। এখন এমন ইচ্ছে শুধু ভাবনাতেই সীমাবদ্ধ। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবান্ন উৎসব পালন করতে দেখা যায় কোথাও কোথাও।
অনেক জায়গায় পূর্বপুরুষের এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কৃষক পরিবার। বাংলাদেশের ঋতুতে হেমন্ত এলেই মানুষের শরীর ও মনে সতেজ ভাব চলে আসে। কৃষকের মনে খুশির জোয়ার বইতে থাকে। কখন তারা ধান কাটবে। ঘরে তোলবে সোনার ফসল। তবে কৃষিজমি নষ্ট করে ঘন ঘন বাড়িঘর করায় কমে গেছে ফসলের জমি।
যেটুকু জমিতে ধান চাষ করা হয় তাতেই দুই মাসের খোরাক হয়ে যায় তাদের। নিয়ম অনুযায়ী হেমন্ত আসবে বাংলার ঘরে ঘরে এটাই সত্য। খেতের আলে আলে হাঁটবে পাখপাখালি। দূর থেকে ভেসে আসবে জুঁই, শেফালি, শিউলির ঘ্রাণ। আর না হোক কবির মন উচাটন হবে হেমন্তের রাতে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।