আমতলী প্রতিনিধি
পর্যটন নগরী কুয়াকাটার সী-বিচকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রাখতে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় এডুকো বাংলাদেশ ও এনএসএস-এর সহযোগিতায় এমপাওয়ার প্রকল্পের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সকাল থেকে এমপাওয়ার প্রকল্পের যুব সদস্যরা কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ বিভিন্ন বর্জ্য সংগ্রহ করে।
কর্মসূচি শেষে তারা পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা, কুয়াকাটা পৌরসভা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতি সৈকতকে নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জোর দাবি জানান।এমপাওয়ার প্রকল্পের ইয়ুথ সদস্য মুক্তি বলেন, কুয়াকাটা শুধু আমাদের নয়, এটি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এই সৈকত পরিষ্কার রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
নিজেরা সচেতন না হলে কোনো উদ্যোগই সফল হবে না। এমপাওয়ার প্রকল্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর তাজমেরী জাহান লিখন বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ পরিবেশ সুরক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। যুব সমাজ এগিয়ে এলে কুয়াকাটাকে পরিচ্ছন্ন ও টেকসই পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী জাকির হোসেন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। তরুণদের এই উদ্যোগ অন্যদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।এনএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পাননা বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পরিবেশ সংরক্ষণের বিকল্প নেই।
যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এডুকো বাংলাদেশের ক্লাইমেট চেইঞ্জ ও ডিজাস্টার ম্যানেজার কাজী আবদুল কাদির বলেন,পর্যটন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। সরকার, পৌরসভা ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে কুয়াকাটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে।
এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৫০ জন যুব সদস্যের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা জানান, পরিবেশ সুরক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতেও নিয়মিত এ ধরনের কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।