সম্পর্কিত খবর
বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের (উত্তর) দেবীরচর বাজারে দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কামাল ও শাওনকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আটজন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বদরপুর ইউনিয়ন (উত্তর) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেছারুল্লাহ বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল সুইচ ও বিএনপি নেতা সিরাজ হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে একই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি শহিদুল্লাহ মেলকারের লোকজনের ওপর হামলা চলায়। এতে শহিদুল্লাহর ছেলে কামাল ও নাতি শাওন জখম হন। এ ছাড়া শহিদুল্লাহর পক্ষের মন্নান, লোকমান, তৈয়ব ও মাসুদসহ আরও বেশ কয়েকজন পিটিয়ে জখম করা হয়।
৫ অগাস্ট পট পরিবর্তনের পর থেকে কামাল সুইচ ও সিরাজ হাওলাদারের লোকজন দেবীরচর বাজারের দখল নিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ নেছারুল্লাহর।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কামাল সুইচ বলেন, ৫ অগাস্টের পর থেকে দেবীরচর বাজারের দখল নিতে শহিদুল্লাহ তার লোকজন নিয়ে প্রতিদিন মহড়া দেন। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।’
শহিদুল্লাহর পক্ষের লোকজনের হামলায় কায়কোবাদ কবীর, হাসান, মঞ্জু এবং রশিদ আহত হয়ে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে দাবি করেন তিনি।
কামাল সুইচের অভিযোগ অস্বীকার করে নেছারুল্লাহ বলেন, কামাল সুইচ ও সিরাজ হাওলাদার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেবীরচর বাজার দখলে রেখেছেন।”
লালমোহন থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনও পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।