মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫
Muladi
Muladi

মুলাদীতে শস্য কর্তন উৎসব পালিত

ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী প্রতিনিধি ‍॥

বরিশালের মুলাদী উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের বোর্ড স্কুলের পার্শ্বের মাঠে গতকাল ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শস্য কর্তন উৎসব উপলক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভা ও জারি গানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মুলাদী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পরাণ সাহা, মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম, মুলাদী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হারুন উর রশিদ, মুলাদী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও কৃষক গ্রুপের প্রধান জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কৃষক, কৃষাণী, সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দ। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ অতিথিবৃন্দ শস্য কর্তন উৎসবে ধান কাটার উদ্বোধন করেন।

কৃষি অফিস সূত্রে যানা যায়, চর লক্ষীপুর গ্রামে বোর্ড স্কুলের পাশে পাঁচ বছর পর ২২ একর জমির জলবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ২০২২- ২৩ অর্থবছরের আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে মাঠটি ফাঁকা থাকে। উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে নিয়ে এলাকার কৃষকদের সাথে বৈঠক করে জানতে পারেন যে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অতি বৃষ্টির কারণে এবং জোয়ারের পানি আটকে থাকার জন্য আমন মৌসুমে আমন ধান করা সম্ভব হয় না।
রবি মৌসুমে কিছু জায়গায় সয়াবিন চাষ করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ এবং উপজেলা প্রকৌশলী তানজিলুর রহমানের সাথে উপজেলা কৃষি অফিসার পরামর্শ করেন। পানি নিষ্কাশনের জন্য যে নালা করতে হবে তার অর্থায়ন নিয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাইকা-এর বরাদ্ধ আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু জাইকা-এর অর্থ উক্ত

মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলে এরই ধারাবাহিকতায় ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নিষ্কাশন নালা।
কৃষক গ্রুপের প্রধান জাকির হোসেন বলেন, চলমান মৌসুমে উক্ত মাঠে ২১ একর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৬ টন। সে হিসেবে উক্ত মাঠে এবছর শুধুমাত্র আমন ধান বিক্রি করা যাবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার। অর্থাৎ ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে প্রথম বছরই প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রধান অতিথি বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৫ বছর ধরে যে জমি ফাঁকা ছিলো। যাদের সহযোগীতায় ফাঁকা জমিতে ধানের বাম্পার ফলন ঘটিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। যে সকল কৃষক ধানের বাম্পার ফলন ঘটতে পারে তারা হাঁস-মুরগী পালন করে আরো স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আমি নিজেও বাড়িতে হাস-মুরগী পালন করেছি। আপনারাও হাঁস-মুরগী পালন করে দেশী ডিম খাবেন। তাতে দাম কম পড়বে ও পুষ্টিও বেশী থাকবে।

আরো পড়ুন

মেহেন্দিগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ঐতিহ্য

এইচ এম আনিছুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জ: মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে প্রাচীনকাল থেকে। আমরা দৈনন্দিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *