শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
HD Restoration
HD Restoration

অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম

আমতলী প্রতিনিধি॥

আদালতের আদেশ অমান্য করে মোঃ সোহাগ তালুকদার ও তার সহযোগীরা ধান কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী মোঃ সেলিম থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে আসামীরা তাকে তুলে নিয়ে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ২৩ শে ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী মোঃ সেলিম। প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছের। পুলিশ প্রশাসনে কাছে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ সেলিম বলেন, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী মৌজায় আমার ৯.২০ একর জমি মোঃ সোহাগ তালুকদার, এরশাদ তালুকদার, তোফাজ্জেল তালুকদার, জাহাঙ্গির তালুকদার, বাবুল হোসেন , বাছির তালুকদার ও ইউসুফ আকন জোরপুর্বক ভোগদখল করে আসছে। আমি এ বিরোধীয় জমির বিরুদ্ধে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে ওই জমির ওপর বিবাদীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করেন।

কিন্তু বিবাদীগন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ওই বিরোধীয় জমির ধান কর্তণ করে নিয়ে যায়। আমি হতদরিদ্র মানুষ ধান কর্তণে বাঁধা দিতে পারিনি। গত ১৮ ডিসেম্বর আমি আমতলী থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে আমাকে বিবাধীরা ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আব্দুল লতিফ গাজী, সুলতান আহমেদ, সেরাজ উদ্দিন গাজী ও আলতাফ মীর আমাকে তুলে নেয়। পরে তারা লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে আমার কোমড়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। ওই সময় তারা এ বিষয় নিয়ে থানায় মামলা করলে আমাকে খুন এবং আমার পরিবারের নারী সদস্যদের র্ধষণ ও এসিড মেরে ঝলসে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে আমি চিকিৎসাধীন আছি। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি পরিবারসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছি। বাড়িতে যেতে পারছি না। থানায় অভিযোগ দেয়ার সাহস পাচ্ছি না। পুলিশ প্রশাসনে কাছে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কহিনুর বেগম, মরিয়ম বেগম ও সীমা আক্তার।

এ বিষয়ে সোহাগ তালুকদার মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের জমির ধান আমরা কেটে নিয়েছি।আমতলী থানার এএসআই হারাধন চন্দ্র বাইন বলেন, আদালতের আদেশ মতে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু বিবাদী পক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে জমির ধান কেটে নিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, আহত সেলিমকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন

Public liabrary

আলোকিত সমাজ গড়তে বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের ভূমিকা

মো. হাসনাইন॥ গণগ্রন্থাগার সমাজের সকল শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স ও পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *