নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মেহেন্দিগঞ্জে জরাজীর্ণ ভবন ও টিনের ঘরে আতঙ্ক নিয়ে পাঠদান।
এইচ এম আনিছুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জ।।
ভবনের ছাদে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে পড়েছে ভেতরের রড ও ইট। নেই দরজা ও জানালা। পিলারেও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। মাদরাসার মাঠে প্রচুর কাদা মাঠি, জরাজীর্ণ এ অবস্থায় নিয়মিত পাঠদান চলছে খন্তাখালী রাজাপুর দাখিল মাদরাসায়। এ ভবনের ছয়টি শ্রেণি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ও চানপুর দুই ইউনিয়নের মাঝখানে রাজাপুর খন্তাখালী দাখিল মাদরাসা। ১৯৫৬ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ফলাফলের দিক দিয়ে গোটা উপজেলায় মাদরাসাটি এগিয়ে থাকলেও ভবনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। জরাজীর্ণ ভবনে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
একাধিক শিক্ষক জানান, মাদরাসায় কক্ষ দরকার ১১টি। কিন্তু আছে মাত্র ছয়টি। গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। ভবনের অবস্থাও ভয়াবহ। অন্য কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয়ে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় আসতে চায় না।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, মাঝেমধ্যেই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হয়। আতঙ্কে শিক্ষকরা যখন পড়ান তখন তারা পাঠে মনোযোগ দিতে পারে না।
মাদরাসার সুপার মাওলানা কেরামত আলী বলেন, প্রায় ৫ বছর এখানে দায়িত্ব পালন করে আসছি। নতুন ভবন বা সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কাজ হয়নি।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় দক্ষ শিক্ষক আছে। প্রতিবছর ভালো ফলাফলও করছে। অথচ অবকাঠামোর অবস্থা করুণ। কোনো রকম জোড়া তালি দিয়ে পাঠদানের কাজ চলছে। কখন ভেঙে পড়ে সেই ভয়ে এবং আতঙ্কে থাকতে হয়।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।