রিয়াজ ফরাজি।।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার নতুন হাকিমুউদ্দিনে মাটির রাস্তাটির করুণ দশা – চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নতুন হাকিমুউদ্দিন বাজার সংলগ্নে দক্ষিণ পাশ হয়ে রাস্তাটি ফকির কান্দি পাকা সড়কের সাথে যুক্ত হয়। প্রায় ৩ কিলোমিটার মাটির রাস্তটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত দেখার কেউ নেই। বোরহানউদ্দিনে এতো এতো রাস্তা-ঘাট হচ্ছে, তবে এই রাস্তাটি হচ্ছেনা কেন প্রশ্ন ভোগান্তিতে পড়া হাজারো মানুষের।
যেমনি রাস্তার বেহাল দশা তেমনি বৃষ্টি হলে পানি জমে চলাচল করা আরও ঝুঁকি। এই ঝুঁকি মনে করে প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ চলাচল করে এই মাটির রাস্তাটি দিয়ে। বর্ষা হলে রাস্তাটি ডুবে যায় যা নিয়ে সমালোচনা করছে সাধারণ মানুষ। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন স্থানে পানিবদ্ধতার সৃস্টি হয়। পানি জমে তৈরি হয় ছোট-বড় গর্ত। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন৬ ধরে মাটির রাস্তাটির অবস্থা এমন হলেও সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। ফলে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, সময় মতো স্কুলে যেতে পারেনা। যানবাহন তো দূরে থাক, পায়ে হেঁটে যাওয়াই দুষ্কর। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরপুর গোটা রাস্তাটি। ঠিকমত রিকশা ও অটো চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা শরীফ হাওলাদার ও জুয়েল শিকদার অভিযোগ নিয়ে জানান, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবতী ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাশের মাটির রাস্তাটি হাজারো লোকের বসবাস। কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি এমন বেহাল অবস্থা, পুরো রাস্তাটিতে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে পানিবদ্ধতা।
কিছু এলাকায় কিছু কাজ হলেও অধিকাংশ ওয়ার্ডের সড়কের কোন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকায় বসবাসকারীদের।
তবে গেল ১৬ বছরে তেমন একটা উন্নয়ন দেখা না গেলেও ব্যাক্তি উন্নয়ন ঠিকই হয়েছে বলে জনমনে ধারণা।
মোকসুদুল্ল্যাহ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগে জানান- নতুন হাকিমুউদ্দিন বাজার সংলগ্নে দক্ষিণ পাশের মাটির রাস্তাটি আজ থেকে ১৮/১৯ বছর আগে অটোরিকশা চলাচল করা দূরের কথা লোকজন পায়ে হেটে চলাও দুষ্কর ছিল। এইচ,এইচ,বি ব্রিকস হওয়ার পর তারা পুরো রাস্তাটিতে কয়েক হাজার আধলা ফালানোর পর যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। তারপরও মাঝে মধ্যে বর্ষার পানি জমলে পঁচা আধলা রাবিশ ফেলে যানচলা চলের উপযোগী করে তোলে।কোন প্রকল্প উদ্যোগ নিয়ে পুরো রাস্তাটি ইটের সলিং করা হলে হাজারো মানুষের স্হায়ীভাবে চলাচল করা আর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতো না। এই বছর রাস্তাটি করার কথা থাকলেও ঠেলাঠেলির কারণে রাস্তাটি করা হয়নি।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।