চরফ্যাশন প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট থেকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ফেরি সার্ভিসসেবা চালুর পদক্ষেপ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একাধিক তদন্ত শেষে সর্বশেষ ০২.০৭.২৫ বুধবার সকালে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ এর প্রতিনিধি দল ঘোষের হাট লঞ্চঘাট ও হাজির হাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের বলেন, এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে কোনো জটিলতা নেই। খুব শীঘ্রই চালু করা হবে ফেরি সেবা, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন, সহ ব্যাবস্থাপক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আলীমুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ এর বরিশাল বিভাগীয় সহকারি পরিচালক (বন্দর) রিয়াদ হোসেন ও সহকারী প্রকৌশল আবু সালেহ সাগর প্রমুখ।
দক্ষিণাঞ্চলের লোকজনের জন্য দাবী ছিল যোগাযোগে ফেরি ব্যবস্থার । কেননা উন্নত চিকিৎসার জন্য এখানের মানুষ জেলা সদর ভোলা কিংবা মূল ভূখণ্ড বরিশালে আসা-যাওয়া করার ক্ষেত্রে জীবন ঝুঁকি নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত। প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ট্রলার ও স্পিডবোটে প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে এই দুই উপজেলার লোকজনকে। ফেরিটি চালু হলে সহজ হবে মানুষের যোগাযোগ। উপকৃত হবে দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। সাশ্রয়ী হবে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা। এসব বিবেচনায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত রুটে ফেরি চালু করার বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।
প্রভাষক নাজিম উদ্দীন সোহাগ বলেন, এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য, আহরিত ইলিশ মাছসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদ কিংবা সাধারণ মানুষ পরিবহন যথেষ্ট কষ্টসাধ্য, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। ঘোষেরহাট-হাজিরহাট রুটে ফেরি চালু হলে পদ্মা সেতু হয়ে সহজে ঢাকা যাওযা সম্ভব হবে, যা যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আনবে। যার জন্য এ রুটে ফেরি চালু করার আমাদের জোর দাবী ছিল। ফেরি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।