শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

মহাসড়কের পাশেই পৌরসভার ময়লার ভাগাড়! দুর্গন্ধ ও দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আজিম উদ্দিন খান,লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি।।
ভোলার লালমোহন পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির হয়েও নেই নিজস্ব ময়লা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং। তাই পৌরসভার ময়লাগুলো বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখে পৌর কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ময়লা ফেলছে লালমোহন হেলিপ্যাড সংলগ্ন ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশেই। এই ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও পথচারীরা। এর পূর্বে ময়লা ফেলতো পৌরসভার মেজর হাফিজ বীর বিক্রম স্টেডিয়ামে। পরে নুরুল ইসলাম কলেজের সামনে ভোলা চরফ্যাশন মহাসড়কের পাশে এবং সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সংলগ্ন  মহা সড়কের পাশে। সড়কের পূর্ব পাশে খালের মধ্যে ময়লা ফেলে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে মহাজন বাড়ির এলাকাসহ তিন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমোহন মঙ্গল সিকদার মহাসড়কের হেলিপ্যাড সংলগ্ন রাস্তার উপরে ময়লা ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই এলাকায় চলাচলকারী পথচারী ও পরিবহনের যাত্রীরা দুর্গন্ধে নাক মুখ চেপে ধরে স্থান ত্যাগ করতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী, পথচারী ও পরিবহনের যাত্রীরা।
ওই রুটে যাতায়াতকারী অটো ড্রাইভার মো. রফিক জানান, এখান দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় যাত্রীরা নাক মুখ চেপে ধরে যেতে হয়। কয়েকদিন আগে আমার গাড়ির এক মহিলা যাত্রী এই দুর্গন্ধে বমি করে ফেলেছে। আমরা এই দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে চাই।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন বলেন, ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে মাঝে মধ্যে মনে হয় ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই। দুর্গন্ধে আমাদের বাড়িতে থাকা খুবই দুষ্কর হয়ে পড়ছে। এই দুর্গন্ধের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই।
এছাড়া ময়লার কারণে এখানে একাধিক কুকুর রাস্তার উপরে হামাগুড়ি দিয়ে ময়লা খাচ্ছে এবং বিভিন্ন যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার শিকার মোটরবাইক চালক মো. ইউসুফ জানান, আমি ধীরেসুস্থে মোটরবাইক চালিয়ে লালমোহন আসছিলাম। হঠাৎ একটি কুকুর দৌড়ে আমার বাইকের নিচে পড়ে। এতে আমি মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হই। আমার হাত পায়ের বিভিন্ন স্থানে জখম হই।
লালমোহন পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ময়লা ফেলার জন্য জমি ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে। ওই এলাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ওখানে আর ময়লা ফেলা হবে না এবং দ্রুত ময়লা সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া বলেন, পৌরসভার নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত। যত্রতত্র ময়লা রাস্তার পাশে  ফেলানোর কোনো সুযোগ নেই। যেখানে মানুষের বসবাস নেই এবং চলাচল কম থাকে সেখানে ময়লা ফেলতে হবে। বিষয়টি নিয়ে লালমোহন পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে শীঘ্রই যোগাযোগ করা হবে।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *