নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় অতি জোয়ারে প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের জোয়ারের পানি নামতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে। তবে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিপাত। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও নদী উত্তাল থাকায় বন্ধ রয়েছে ১০টি রুটে লঞ্চ চলাচল। বিভিন্ন জায়গায় মাছের পুকুর-ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে পানিবন্দি ছিল মনপুরার উপজেলার কলাতলি চরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চরপাতিলা। ভোলা সদরের রাজাপুর, নাছিরমাঝি, মাঝেরচর। দৌলতখানের মদনপুর, ভবানীপুর বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও লালমোহনের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছিল বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দারা।
ভোলা সদরের ধনিয়া নাছিরমাঝি গ্রামের মো. ইমন, রাজাপুরের মো. রুবেল ও মনপুরার কলাতলি চরের বাসিন্দা মুফতি আরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দুপুরের তুলনায় শনিবার ভোরের জোয়ারের পানি কম হয়েছে। এমনিতেই গতকাল থেকে পথঘাট ও বাড়ির আশপাশ সব তলিয়ে ছিল। ওই অবস্থায় ফের ভোররাতে জোয়ার এসে আবারও আশপাশে পানি উঠেছিল। ভাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ভোলা আবহাওয়া অফিসের প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হালকা বৃষ্টিপাত চলছে। নিম্নচাপের প্রভাবে নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ব্যবস্থাপক কাউসার হোসেন বলেন, নদীর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের চাপ কমে গেছে। এর আগে বৈরী আবহাওয়া শুক্রবার দুপুর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে। আগামীকাল নাগাদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।