শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

ভোলায় নামতে শুরু করেছে জোয়ারের পানি, স্বাভাবিক চলাচল ফেরি

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় অতি জোয়ারে প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের জোয়ারের পানি নামতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে। তবে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিপাত। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও নদী উত্তাল থাকায় বন্ধ রয়েছে ১০টি রুটে লঞ্চ চলাচল। বিভিন্ন জায়গায় মাছের পুকুর-ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পানিবন্দি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (২৬জুলাই) ভোরে জোয়ারের পর ভাটা শুরু হলে পানি নেমে যেতে শুরু করে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ পানি রাতে নেমে গেছে।

এর মধ্যে পানিবন্দি ছিল মনপুরার উপজেলার কলাতলি চরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চরপাতিলা। ভোলা সদরের রাজাপুর, নাছিরমাঝি, মাঝেরচর। দৌলতখানের মদনপুর, ভবানীপুর বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও লালমোহনের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছিল বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দারা।

ভোলা সদরের ধনিয়া নাছিরমাঝি গ্রামের মো. ইমন, রাজাপুরের মো. রুবেল ও মনপুরার কলাতলি চরের বাসিন্দা মুফতি আরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দুপুরের তুলনায় শনিবার ভোরের জোয়ারের পানি কম হয়েছে। এমনিতেই গতকাল থেকে পথঘাট ও বাড়ির আশপাশ সব তলিয়ে ছিল। ওই অবস্থায় ফের ভোররাতে জোয়ার এসে আবারও আশপাশে পানি উঠেছিল। ভাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে ভোলা আবহাওয়া অফিসের প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হালকা বৃষ্টিপাত চলছে। নিম্নচাপের প্রভাবে নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদী বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভোলা নদী বন্দরে ১নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ভোলার ১০টি রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এসব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ভোলা-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল।

বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ব্যবস্থাপক কাউসার হোসেন বলেন, নদীর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের চাপ কমে গেছে। এর আগে বৈরী আবহাওয়া শুক্রবার দুপুর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে। আগামীকাল নাগাদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *