লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় একটি প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের খপ্পড়ে পড়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের হাসপাতাল গেট এলাকার নিউ গ্রিণ লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তজুমদ্দিন উপজেলার আড়ালিয়া এলাকার গৃহবধূ মোসা. আছমা বেগমকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্বজনরা। এরপর সেখান থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ওই গৃহবধূকে ডায়াগনস্টিকে পাঠানো হয়। ওই গৃহবধূকে নিয়ে তার স্বজনরা গ্রিণ লাইফ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে গেলে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের খপ্পড়ে পড়েন গৃহবধূ আছমা বেগমের স্বজনরা। নয়-ছয় বুঝিয়ে ওই গৃহবধূকে সেখানে ভর্তি করানো হয়। এরপর সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহনাজ পারভীন ওই গৃহবধূকে সিজার করাতে হবে বলে জানান। চিকিৎসকের পরামর্শে সিজারের জন্য হাসপাতালে ১০ হাজার টাকাও জমা দেয়া হয়। এরপর গৃহবধূ আছমা বেগমকে সিজার না করিয়ে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করা হয়। এতে ওই গৃহবধূর নবজাতক শিশুটি মারা যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
গৃহবধূ আছমা বেগমের স্বামী মো. ইব্রাহিম অভিযোগ করে বলেন, প্রসব বেদনা ওঠার পর মঙ্গলবার ভোরে আমার স্ত্রীকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। সেখান থেকে জানানো হয় একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হবে। এরপর সকালে গ্রিণ লাইফ হসপিটালে গেলে তারা কয়েকটি টেস্ট করিয়ে আমাদের জানান, বাচ্চার শারীরিক অবস্থা ভালো না, স্বাভাবিক প্রসব করালে বাচ্চা মারা যাবে। তাই ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথামতো আমার স্ত্রীর সিজারের জন্য টাকাও পরিশোধ করেছি। তবে কিছুক্ষণ পর তারা আমার স্ত্রীকে সিজার না করিয়ে স্বাভাবিক প্রসব করান। সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় আমার বাচ্চাটি মারা গেছে। আমি তাদের বিচার চাই।
এ অভিযোগের বিষয়ে নিউ গ্রিণ লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালের পক্ষ থেকে মো. বাবুল জানান, আমাদের এখানে আনার আগেই ওই রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। পরে আমরা রোগীকে সিজার করাতে বলি। তবে সিজার করানোর আগেই ওই রোগী স্বাভাবিক প্রসবে একজন মৃত নবজাতকের জন্ম দেন।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।