কামাল তুহিন
ভোলায় উপকূলীয় অঞ্চলে মহিষ উৎপাদন উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিয়ে পরিচালিত ‘উপকূলীয় অঞ্চল ভোলায় মহিষ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জেজেইউএস) মিলনায়তনে অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ অ্যালামনাই সাপোর্ট গ্রান্ট ২০২৪–এর অর্থায়নে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “উপকূলীয় চরাঞ্চলের বাস্তবতায় মহিষ দেশের দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনে সম্ভাবনাময় খাত। মাঠপর্যায়ে গবেষণা, আধুনিক পদ্ধতি ও কৃষকবান্ধব উদ্যোগ এ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
কর্মশালা আয়োজন করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট গবেষক দল—ড. কে এম এ তারেক, প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম, এস এম শাহজাহান এবং প্রফেসর ড. কাজি শারমিন আকতার।
এছাড়াও ভোলা জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলম,এবং বিভিন্ন উপজেলার খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষকদের এ প্রকল্পের কার্যক্রমের উপস্থাপনায় কামাল উদ্দিন তুহিন জানান, ভোলার উপকূলীয় চরাঞ্চলে মহিষ পালনের শতবর্ষের ঐতিহ্য রয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, চরভূমির ভৌগোলিক রূপান্তর, খাদ্য সংকট ও রোগব্যাধির ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় মহিষ উৎপাদন ব্যবস্থায় নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থাপনা, উন্নত বংশবিস্তার প্রযুক্তি, প্রাণীর স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় খামারিদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় কর্মশালায়।
অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন। আলোচনার শেষে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।