মইনুল আবেদিন খান সুমন, বরগুনা
বরগুনা-নিশানবাড়িয়া সড়কের বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি শর্তসাপেক্ষে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও বাস্তবে ঠিকাদারের গাফিলতির কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের সময় নিলেও কাজের অগ্রগতি ও ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক সপ্তাহের মধ্যে সড়ক সংস্কার কাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখানোর কথা ছিল এবং গতকাল থেকেই ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে পুরো সড়কে পানি ছিটানোর নির্দেশনা ছিল। পাশাপাশি আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাস্তার কার্পেটিং শেষ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কিন্তু মনসাতলী ব্রিজ থেকে নিশানবাড়িয়া অংশের ঠিকাদার এসব নির্দেশনার তোয়াক্কাই করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল পানি দেওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দায়সারা গোসের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। রাস্তাজুড়ে এখনও উড়ছে ধূলাবালি, আর সেই ধুলায় অতিষ্ঠ পথচারী, শিক্ষার্থী, রোগী ও যানবাহন চালকরা। এলাকাবাসীর ভাষায়, এই বেহায়াপনা আর মেনে নেওয়া হবে না।
গতকাল বরগুনা এলজিইডি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। তারা দ্রুত কাজ আদায়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তবে বাস্তবে একমাত্র ঠিকাদার সিদ্দিকুর রহমানের অংশে আংশিকভাবে পানি ছিটিয়ে ধূলা নিবারণের চেষ্টা দেখা গেছে। বাকি অংশে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত মানেই আন্দোলন বন্ধ নয়। তারা বলেন, আমরা জনগণ বোকা নই। এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এবার আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকাদারকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শর্ত লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণও আদায় করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে খোয়া ফেলে রেখে সংস্কার কাজ ঝুলিয়ে রাখায় বরগুনা-নিশানবাড়িয়া সড়ক এখন কার্যত চলাচলের অনুপযোগী। দ্রুত টেকসই সমাধান না এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।