বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এর একটি টিম। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার শশিভূষণ থানা এলাকার একটি গুচ্ছগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট মো. শাহরিয়ার রিফাত অভি (এক্স) বিএন ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার হওয়া ২ আসামি হলেন- মো. মিজানুর রহমান ও রাসেল আহমেদ। তারা দু’জন আপন ভাই। তাদের বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার উত্তর বাটামারা গ্রামে। তারা মামলার ৪ ও ৫ নম্বর আসামি।
উল্লেখ, গত ৬ জানুয়ারি বোরহানউদ্দিন থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমাস এবং নুরুল ইসলাম বাটামারা গ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আসামির তর্কবিতর্ক বাধে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা করে। হামলায় পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনার পর পুলিশ এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে ঘটনার দিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। গেল ৩ দিন আগে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া আসামির স্বজনরা দাবি করছেন, ঘটনার দিন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ভুল আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও কিশোর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করেন।
তাদের অভিযোগ- পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল না, এমন কয়েকজনকে পুলিশ আসামি করেছে। এছাড়াও গ্রেফতার হওয়া ওই ২ নারী পুলিশের ওপর হামলা করেনি বলেও অভিযোগ করছেন তাদের স্বজন এবং স্থানীয়রা।
যদিও ঘটনার শুরু থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তা ভুল আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে এ হামলার শিকার হয়েছেন, নাকি সঠিক আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে এ হামলা তা পুলিশ তদন্ত করছে।
ভোলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শরীফুল হক বলছেন, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদেরকেই গ্রেফতার করা হবে। নির্দোষ কেউ যেন আসামি হয়ে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে পুলিশ লক্ষ্য রাখবে।